Main

মৃত্যু মঞ্জুষা short horror audio stories bengali

#মৃত্যু_মঞ্জুষা #bengali #new bengali short story, #bhuter cartoon,# horror experience in bengali, #suspense thriller audio story bengali, #vuter golpo audio story, #sunday horror suspense, sunday audio story, #ghost golpo, bengali new ghost story, #bengali story, #banglagolpo #golpo audio story adventure, #horrorstories kahaniyan, #the story of the road, mission story, #anachar bengali story explained, #kalapahar story in bengali, #the magic of storytelling, #stories of transformation, #audiobooks, colour monster story, #beloved summary in bangla, #missing diary letter to police station in bengali, #night time stories, #golpo bhuter, suspense audio story, #suspense story, bangla bhuter golpo, #haunted podcast Bengali, #scary stories audiobook, #bengali audio story, #horror story bangla #horror stories, #bengali detective audio story, #bangla horror audio story, #bengali horror audio story, #horror short bengali, #bhuter golpo, #bhuter golpo sunday, #horror golpo, #rupkothar golpo, #suspense story, #suspense thriller story, #bengali thriller story, #bengali short story, #horror bengali story, #short horror audio stories bengali, horror story page

গল্প প্রেমী

2 hours ago

Subscribe করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল শুনতে থাকুন সায়নপুরিয়ার কাহিনী মৃত্যু মঞ্জুষা জীবনের খাদ প্রতিঘাতের থেকে বাচতে আমরা আমি সেই খড়কুটো আঁকড়ে ধরি সেই খড়কুটো স্রোতে ভাসিয়ে আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে তা না জানলেও কেবল বেঁচে থাকার প্রবল ধারণাতে যা হোক অবলম্বনকে বিশ্বাস করি এবং এই অবলম্বনের কিছু কিছু এই অলৌকিক অন্ধকার আমাদের বেঁচে থাকার তাড়নাকে প্রলুব্ধ করে আমাদের কোথায় নিয়ে যেতে চায় কোন অতল সমুদ্রের স্রোতে আমাদের এনে ফেলে তা কি আমরাই জানি আসুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের গল্প আজকের গল্পের লেখ
ক ইকুয়েডরই প্রোডাকশন থেকে সায়ন পরিয়া শুনতে থাকুন আমাদের আজকের গল্প মৃত্যুমন্যুসা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে ১ অদ্ভুত ঘটনা রাস্তাঘাট থেকে দেখতে দেখতে উধাও হয়ে যাচ্ছে পথ চলতি মানুষ রুলিং অপদৃশন কারোর কাছেই কোন জবাব নেই মানুষ ঘরের বাইরে বেরোতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছে রাস্তাঘাট জনশূন্য অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে এটা হয়তো ১ ধরনের জেনারেল ইস্ট অ্যাটাক অনেক বিজ্ঞানী এই ঘটনাকে যুক্ত করছেন ভীমগ্রহী প্রাণীদের সঙ্গে ধর্মীয় সংগঠন থেকে জানানো হয়েছে ঘটনাটি নিশ্চয়ই ইখনো দেবতার রুদ্রর কারোর কাছেই
কোন পক্ত প্রমাণ নেই আসলে এটি কি এই অবস্থায় আপনি কতটা সুরক্ষিত জানতে হলে চোখ রাখুন আমাদের চ্যানেলে ঠিক রাত নটায় এই অ্যাটাক কেমন অ্যাটাক অনুষ্ঠানে আলোচনায় থাকবেন বিশেষজ্ঞরা বৃষ্টির পূর্বাভাস পেয়ে অন্যান্য লেবার দের সঙ্গে প্রবীর ও ভাড়া থেকে নেমে এসেছে নামেন কেবল প্রবীরের ভাই সুমন আরে আরে নেমে আয় জলদি যেকোন মুহূর্তে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে তো নেমে আয় একটা সূর্য ১০ তলা বিল্ডিংএ গ্লাস লাগানোর কাজ চলছে সুমন কাজ করছিল ভাড়ার সবচেয়ে উঁচুতে প্রায় আঁচ ঝুলা হয়ে একটা স্ক্রু আটকিয়ে হাটতে সুমন বলল এটা
ই শেষ প্লেট আর দুটো স্ক্রল লাগানো বাকি শেষ করে নামছি তুই ভেতরে যা বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে দেখছিস একটা বিপদ না করেই তুই থামবি না তাড়াতাড়ি নেমে আয় কথাটা বলে কবির দাবুর দিকে পা বাড়িয়েছে কিছুটা যাওয়ার পরেই হঠাৎ একটা বিদ্যুতের ঝলকানি আর ঠিক তার পরবর্তী একটা তীব্র চিৎকার শুনে পেছন ফিরে তাকালো প্রবীর চিৎকারটা পেছন থেকে আসেনি এসেছে ওপর থেকে ও দেখলো সুমনের শরীরটা শূন্যে ভাসতে ভাসতে বাধাহীন ভাবে নিচের দিকে নামছে সুমন ঠিক কোথায় পড়তে পারে সেটা আন্দাজ করে সেই দিকেই দৌড়ে যাচ্ছিল প্রবীর যেতে যেতে দেখলাম
সুমন এসে পড়েছে একটা কাটা ঝুঁকে এটি প্রবীর লক্ষ্য করেন যে সুমন ছাড়া আরো একটা জিনিস নিচে নেমে আসছে কিছুক্ষণ আগেই সুমনের হাতে ধরা স্কুল টাইট দেওয়ার যন্ত্রণা সেটা সবেতে এসে পড়ুক রবিরের বাম কাজ প্রচন্ড যন্ত্রণায় তৎক্ষণাৎ জ্ঞান হারানোর প্রতি দুঃস্বপ্নটা দেখে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেল প্রবীরের এখন প্রায় প্রতি রাতেই ঘটনাটা স্বপ্নে দেখলেও আজ থেকে দু সপ্তাহ আগে ঘটনাটা বাস্তবে ঘটেছে ১৫ দিন হলো সুমন হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মাশরাফি আগে রবির আর সুমনকে গৌহাটিতে পাঠানো হয় কোম্পানির একটা কন
স্টেকশন সাইটে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার জন্য লোকের দরকার ছিল তাই কলকাতার একটা সাইট থেকে ওদের দুজনকে গৌহাটিতে নিয়ে আসা হয় সবকিছু ঠিকই চলছিল আর একমাস হলেই কাল শেষ করে ওরা আবার কলকাতায় ফিরে যেত মাঝেই বিছানায় পাশে রাখা প্লাস্টিকের বোতল টা তুলে নিয়ে রবির ১ নিঃশ্বাসে প্রায় সমস্ত জলটাই খেয়ে ফেললো সুমন এর ক্ষতবিক্ষত মুখটা মনে পড়লে বুকের ভেতরটা কেমন হুহু করে ওঠে প্রবীরের ছোটবেলা থেকে যে ভাইয়ের গায়ে একটা আঁচড় লাগতে দেয়নি আজ তার এই অবস্থা ভিটামিন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না ও মনে মনে ভাবলো কেন ভাই
কেন কেন তুই ওর নাম এলি না সকলের সঙ্গে কেন কেন সুমনের এই দুর্ঘটনার কথা প্রবীর এখনো বাড়িতে জানায় আসলে কি ভাবে বলবে সেটা বুঝে উঠতে পারছি না বিধবা মা কিভাবে নেবেন ব্যাপারটা সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না কিন্তু এবার তো জানাতেই হবে এভাবে আর কতদিন বা লুকিয়ে রাখা সম্ভব সুমন এখনো ঘুমায় বিগত ১৫ দিনের রুটিন মেনে প্রতিদান আজ ও মেচ থেকে বেরিয়েছে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বা হাতের যন্ত্রণাটা কাল রাত থেকে আবার বেড়েছে ডাক্তার বলেছে প্লাস্টার খোলা হবে আরো বিন কুড়ি পর আপাতত বাহাতটা প্রায়োকেছে তাই কনস্টেকশন সাইডে প
ুরোনো কাজটা ফিরে পায় জমানো টাকা প্রায় সবই শেষ হাসপাতাল যাওয়ার পথে কবির হিসেব করে দেখলো যা আছে তাতেই আর হয়তো দিন চারেক চালানো যায় তার বেশি ৯ এসব ভাবতে ভাবতে হাসপাতালের সামনে এসে পৌঁছালো প্রবীর আজ সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা মুখ তুলে একবার উঁচু রাক্ষসের বিল্ডিংটার দিকে তাকিয়ে নিলো সেটা যেন গিলে খেতে চাইছে প্রবীরকে আজ আর আইসিইউ এর ভেতরে ঢুকলো না প্রকৃতি দরজায় লাগানো কাছের ছোট্ট জানলাটা দিয়ে দেখে নিল ভাইয়ের অবস্থা আজ ও আলাদা কিছু ৯ অন্যান্য দিনের মতো লাশের মতো পড়ে আছে সাদা বিছানাটা মুখে অক্সিজেন
মাস্ক শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঢুকে আছে সুরসুর পাইপর্দা বেডের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটা মেশিন নির্দিষ্ট একটা ছন্দে লাল রঙের একটা ছোট্ট আলো জ্বলছে অন্য একটা মেশিনে ওই লাল আলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন রঙের লাইন তৈরি হয়েছে এই সবকিছু দেখতে প্রবীরের যুগ অবস্থা দিনের পর দিন ওই একই জিনিস ও দেখছে এগুলোই নাকি ওর ভাইয়ের বেঁচে থাকার সংক্ষেপ ভেতরে একজন নার্স সেই মেশিন গুলোর দিকে তাকাচ্ছে আর কি সব যেন লিখে রাখছে চোখের সামনে টা আবছা দেখছে কবির একটা দলা পাকানো কষ্ট গলায় ভেতর থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেও বিভ
োর হলো এই কদিনে এটার উপরেও নিয়ন্ত্রণ পেয়ে গেছে প্রবীর থেকে নার্স বের হতেই প্রবিত্রকে জিজ্ঞেস করুন কেমন দেখলেন ম্যাডাম দেখুন আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি এবার ভগবানের উপর ভরসা রাখুন সব ঠিক হয়ে যাবে চেষ্টা করছেন আপনারা প্রতিদিনের মেশিন দেখে খাতায় লেখা ছাড়া আর কি করেন আপনারা শুনেন নাস চলে যাচ্ছিলেন প্রবীর কিছু একটা জিগেস করতে গিয়ে বললো না আরো কিছুক্ষণ ভাইকে দেখে নিই বাইরে বেরোনোর গেটের দিকে পা বাড়ালো বাইরে বেরিয়ে হাসপাতালে পেছনের দিকে এসে শাড়ি দেওয়া খালি বেঞ্চ গুলো একটাতে প্রশ্ন করবে লোকজন
ের গোলাহল ভালো লাগছে না একেবারে ও মাঝে মাঝে এই সবকিছু ছেড়ে কোথাও একটা পালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবে বাড়ি অন্য কোথাও দূরে কোথাও যেখানে ওকে কেউ চিনবে না কেউ জানতে চাইবে না যে ও নিজের অসুস্থ ভাই কে হাসপাতালে ফেলে কেন পালিয়ে এসেছে কি হয়েছে তোমার বাবা আচমকা একটা গম্ভীর গলা শুনে চমকে ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে কাটানো প্রবল দেখলে ওঠ ঠিক পেছনটাতে এসে দাঁড়িয়েছে লম্বা সিঁড়ি নৌকায় শাট অর্থ ১ প্রব্লেম পরনে সাধারণ প্যান্ট আর কালো গুঁড়া কাটা শার্ট ঘাড়ে কালো রঙের একটা ব্যাগ বয়সের ভারে ঝুলে পড়া গলার চামড়া প্রমা
ণ দেয় যৌবনকালের ভদ্রলোক বেশ স্বাস্থ্যবান ছিলেন প্রশ্নের প্রবীর একটু অবাকই হলো কি উত্তর দেবে বা আদৌ কোন উত্তর দেয়া প্রয়োজন আছে কিনা বুঝতে পারছেন ভদ্রলোক এবার বেঞ্চটাকে রবিনের পাশে এসে বসলেন হয়েছে তোমার আবার বলতে পারো কে আপনি হ্যাঁ আপনি কে আর আপনি জানতে চাইছেন এই বা কেন আমি হসপিটালের সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে কাজ করি করি কেন বলছিল করতাম গতকাল আমার কাজের শেষ দিন ছিল আজ আমি এইসব পত্র বুঝে নিতে এসেছি আমার নাম ভুবন বড়া আজ প্রায় ১৫ বছর হলো আমি হসপিটালে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করছি বয়স হয়েছে আর শরীর
ডাকছে না অবসর নিচ্ছি এবার মাথা নিচু করে বসে আছে ভুবন টুপিদের কাঁধে হাত রেখে বললেন আমি এই বেশ কয়েকদিন ধরেই তোমাকে এখানে দেখছি তাই কৌতুহল হল আরকি আজ তো এখানে শেষ দিন নামা কালকে আর গৌতম দা চেপে রাখতে পারলাম না কি হয়েছে তোমার বাবা প্রবীর মাথা নিচু করেই তাদের এই গৌহাটিতে আসা অ্যাক্সিডেন্ট পয়সার অভাব ওর কিং কর্তব্য বিমলতা সব কিছুই খুলে বললো ভুবনকে সব শুনে ভুবন বললেন এটা এখানকার অন্যতম বড় একটা হসপিটাল নিজ তোমার ঘরোয়া তো বাইরে এখানে জানলে কেন অন্য কোথাও তো নিয়ে যেতে পারতি রবির আবার মাথা তুললো চোখ
দুটো জবা ফুলের মতো না আরে আমি তো জানতাম না যে কোথায় নিয়ে আসা হয়েছে দুর্ঘটনায় আমিও অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম জ্ঞান ফিরলে দেখিই হাতে এই এই এই এই প্লাস্টার আর আমরা এই হসপিটালে ওর ম্যানেজার স্যার বলেছিলেন যে ভাইয়ের অবস্থা এখন সঙ্গিন ছিল তাই এখানে আনা হয়েছে অন্য কোথাও নাকি চিকিৎসা হতো না জানেন শুরুতে ম্যানেজার স্যার বলেছিলেন যে টাকা নিয়ে আমি যেন চিন্তা না করি সমস্ত খরচা নাকি কোম্পানির দেবে এই বলে এককানিন ১০০০০ টাকার একটা বান্ডিল ধরে চলে যান তারপর থেকে আর কারোর দেখা নেই ফোন করলে ফোন ধরে না ধরলেও বল
ে টাকা পয়সার ব্যাপার তো তার একটু সময় লাগবে এখন আমি জানো চালিয়ে নিই পরে সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে আর কবে হবে বলতে পারেন আমার কাছে যা টাকা ছিল সব শেষ কি করবো বন্ধু এবার কবে ব্যবস্থা হবে কবে ভাইটা মরে গেলে এইটা ছাড়া তো কোনো উপায় দেখি না ভাই অপরিচিত মানুষটার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়তে একটু কুন্ঠাবোধ করলো না প্রবীর ভুবন্ভীরে কাঁধে আবার একবার হাত রেখে বললেন শান্ত হও বাবা শান্ত হও এই পৃথিবী টাকায় চলে সবাই টাকা বোঝে টাকা মানুষের জন্য টাকা দামের এদের কাছে রবিরের কান্নায় এখন ফুপানিতে পরিণত হয়েছে অনেকটা
ই খারাপ লাগছে চোখের জলে সময় আছে অনেক কিছুই বাইরে বেরিয়ে যায় তাহলে এখন কি করবে ঠিক করেছ টাকা পয়সা তো সবই পাই শেষ ভাবছি আজ ভাই ছুটি করে যেভাবে হোক একটা গাড়ি ভাড়া করে গ্রামে ফেটে যাবো তারপর জানিনা কিভাবে কিছু না কিছু ভাবতেও পারছি না তুমি চাইলে আমি তোমাকে কিছু সাহায্য করতে পারি বাবা না না না না আমি আপনার কাছ থেকে টাকা নিতে পারি না আপনি শ্রদ্ধেয় অবসর নিয়েছেন না না মানে এ হতে পারে না না না টাকা দিলে ৯ বাবা অন্য ভাবে টাকা ছাড়া অন্য ভাবে টাকা ছাড়া অন্যভাবে অন্যভাবে তোমার ভাইকে সুস্থ করে তুলতে
সাহায্য করতে পারি এই হসপিটালে কি আপনার পরিচিত কোনো ডাক্তার আছেন না তোমার ভাই ই হবে সুস্থ হবে না সম্ভব ৯ ঠিক বুঝলাম না এটাই তো এখানকার সবচেয়ে বড় হসপিটাল এটা ঠিক না এটা শুধু এখনকার কেন রাজ্যের সবচেয়ে বড় এবং ভালো হসপিটাল তাও তোমার ভাই ওইখানে সুস্থ হবে না ওকে একটা আলাদা হসপিটালে চিকিৎসা করাতে হবে অন্য হসপিটালের মোবাইল কোথায় আসেনি আসেনি যাবে সেখানে তবে গেলে আজকেই যেতে হবে নইলে কাজ হবে না যাবো যাবো যাবো কিন্তু নিশ্চই যাবো কিন্তু আজ তো সম্ভব ৯ একদম ভাই তুই ছাড়বি না এটা যতক্ষণ না ডাক্তার না না তোম
ার বাড়িকে নিয়ে যেতে হবে না ও এখানেই থাকবে শুধু তুমি গেলেই হবে আমরা আজ বিকেলেই বেরোবো এতগুলো দিন থাকলে আর একটা দিন থেকে যাও আর শোনো যাওয়ার আগে তোমাকে কয়েকটা জিনিস জোগাড় করতে হবে আর একটা কাজ করতে হবে কাজগুলো হবে গোপনে লোভীদের মানসিক অবস্থা কোনো রকম তর্ক দেবার মত নেই এখন ও এখন কেবল দেখতে চাইছে সামান্য আশার আলোর ছটা সে যত সামান্যই হোক না কেন ভুবনকে প্রবীর চেনে না কোথা থেকে এসেছে তাও জানে না ভাইয়ের জন্য ব্যাকুল প্রবীরের মন কোন প্রশ্ন না করে জীবনে প্রথমবার পরিচিত হওয়া ভুবন ভরার কথায় রাজি হয়ে
গেল কি জিনিস কি কাজ সকাল থেকেই আবহাওয়াটা মেঘলা আছে বিকেল হতে না হতেই আকাশটা কালো হয়ে অনেকটাই নিচে নেমে এসেছে ভুবন ভরার কথা মত প্রবীর এসে পৌঁছে গেছে গোহাটি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে আর সঙ্গে এনেছে ভুবনের বলা প্রতিটা জিনিস সকাল থেকেই দিনটা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলছে দু দণ্ড দাঁড়িয়ে ভাববার সময় পাইনি প্রবীর যে ও কি করছে আর কেনই বা করছে বাসস্ট্যান্ডে যে দিকটা অপেক্ষা কৃত ফাঁকা সেদিকটাতে দাঁড়িয়ে প্রবীর মনে মনে সকাল থেকে ঘটে চলা ঘটনা বলি সাজিয়ে নিচ্ছি একটা ব্যাপার ও কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না যে রো
গীকে না নিয়ে গিয়েও তার চিকিৎসা করা কিভাবে সম্ভব যেহেতু ডাক্তারি চিকিৎসা করুক না কেন রোগী না হোক অন্তত একবার তার মেডিকেল রিপোর্ট তো দেখতে চাই সকালে যখন এই কথাটাই কবির ভুবনকে জিজ্ঞেস করে ভুবন হেসে জবাব দেয় যে ডাক্তারের কাছে তারা যাচ্ছে তার রিপোর্ট দেখার প্রয়োজন হয় না অনেকক্ষণ হয়ে গেল ভুবনের দেখা নেই প্রায় আধঘন্টা কবির বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভগবান লোকেরা সত্যি বলছে তো নাকি তার কোনো কুমোর্পূ আছে পরক্ষণেই গভীরভাবে থাকলেই বা কি স্বয়ং ভগবানেরও তার কাছ থেকে আর কিচ্ছু নেই কালো মেঘে এবার ঘ
ুরঘুর শব্দ হতে শুরু করেছে মাঝেমধ্যে দেখা যাচ্ছে আচমকা বিদ্যুতের ঝলকানি দিনের আলো কমে আসছে ধীরে ধীরে পকেট থেকে ফোনটা বের করে কল লাগাতে গিয়ে কবির ভুবন পোড়াতে আসতে দেখে তার দিকে দেখুন সকালে পোশাকে এসেছেন ভদ্রলোক সঙ্গে দুটো প্যাক রবি কাছে গিয়ে একটা ব্যাগ নিতে চাইলে ভুবন বাঁধা দিল না না থাক থাক পরাদুল ভাঙ্গা হাত তার পর মুখে সকালে সেই স্নেহ ভরা হাসি মেখে বললেন অনেকক্ষণ থেকে অপেক্ষা করছে না বাবা সমস্ত জিনিস গুছিয়ে দিয়ে আসতে একটু সময় লাগে কেনো চলো চলো বাস ছেড়ে দেবে বেশি দেরি করলে প্রবীর ভুবন ভরার
সঙ্গে তার গ্রামে যাচ্ছে ভুবনে গ্রাম গোহাটি মুল শহর থেকে প্রায় ৪০কিলোমিটার বাসে ঘন্টা দুয়েক সময় লাগে প্রায় পুরোটাই বাসে যেতে হয় শেষে কিছুটা পথ ট্রেকার গাড়ি ব্যাংক বা রিক্সায় যেতে হয় বাস যখন গৌহাটি বাস স্ট্যান্ড থেকে ছাড়লো তখন ঝিঝিরি করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে রুটিন শেষ বাস হওয়া সত্ত্বেও বাসটা বেশ ফাঁকা হয়তো মুখ ভার করে থাকা আকাশের কারণ রবির বসেছে জানলার ধারে তার পাশে ভুবন কিছুক্ষণের মধ্যেই শহরের কোলাহল ছাড়িয়ে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে বাস উপরের দিকে উঠতে শুরু করলো কন্টাকটর এলে ভুবনে
দুজনের ভাড়া দিয়ে দেন রবি আপত্তি জানায় কিন্তু ভুবন তাতে কান দেন আজ সকালে ভুবন প্রবীরের আর্থিক অবস্থার ইঙ্গিত পেয়ে গেছে ভুবন যখন কন্টাকটকের টাকাটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য হাত বাড়ায় তখন প্রবীর জিনিসটা প্রথমবার লক্ষ্য করলো ভুবনের একটা শুকিয়ে যাওয়ার খবর দেখে মনে হয় কতটা হয়েছে দাঁতে কামড়ানো তো কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করতে যে ভুবন ব্যাপারটা সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন সব জিনিসগুলো ঠিকঠাক এনেছো তো হ্যাঁ এনেছি বাহ্ বাহ্ বের করো দাও জিনিস গুলো সব আগে আগে দাও আমি আমার কাছে রেখে দি প্রবীর অবাক হ
য় জিনিসগুলো দিয়ে দিতে কেন বলছেন ভদ্রলোক যেখানেই হোক দুজনে তো একটা জায়গাতেই যাচ্ছি তবে ভুবন যেন প্রবীরের মনের কথা পড়ে নিয়ে একটু হেসে বললেন আসলে শুধু ওগুলোই তো ৯ আরো অন্যান্য জিনিস কিছু আছে যেগুলো আমি সংগ্রহ করেছি সব কিছু একটা জায়গাতেই রাখা ভালো এখন সময় আছে তাই সহজ দেখে নেওয়াই ভালো ভোরে নাহলে কাজে সময় খুঁজে পেতে মুশকিল হবে ভুবনের কথা মতো কবির ব্যাগ থেকে একটা একটা করে জিনিস বের করে তাকে দিতে লাগে প্রথমে বের করল ছোট্ট একটা ঝিপ লপ পাওয়া উচিত তার ভিতরে বেশ কয়েকটা কোমরানোর চুল পলিথিন টা ভবনে
র হাতে দিয়ে রুবেল একটু আলতা আলতা করে বললো আসলে মাথার সব চুল তো কেটে ফেলা হয়েছে তাই এভাবে হাহা জ্বলবে চলবে শরীরে যেকোন আঙুলের চুল হলেই হবে তা উপরে দোলা তো রবির মুখে একটা শব্দ করে ব্যাগ থেকে বের করলো প্রায় ১ আঙুল লম্বা স্বর্গ একটা কাজের ভিতরে কালচে রঙের একটা তরল সেসিটা ভুবনের হাতে দিয়ে প্রবেশ জিজ্ঞেস করল এগুলো দিয়ে কি হবে বলুন তো আমি না সত্যিই কিছু বুঝতে পারছিনা বৃষ্টিটা এখন প্রায় থেমে গেছে মাঝেমধ্যে মেঘের ভেতর বিদ্যুতের নকশা ফুটে উঠছে ভবন গভীরের করা প্রশ্ন সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে গম্ভীর গলায়
পড়লো আর বাকি জিনিসগুলো এগুলো কোথায় প্রবীর বাকি জিনিস গুলো বের করবে বলে ব্যাগের ভিতর হাত ঢুকিয়েছে ভুবনের কথায় ওজন একটু অবাক করে ভদ্রলোকের গলায় আগের সেই মিষ্টতাটা নেই নিজেকে সামলে নিয়ে কবির ব্যার্থে একটা কাগজের কুঁকড়ি বের করে ভুবনের হাতে দিয়ে হল এই এই এই এই কাটা নখ কিছুটা চামড়া আর একটা দাঁত আছে ভুবন পুখলিটা হাতে নিয়ে নিজে ব্যাগের ভিতর ঢুকিয়ে নিলো খুলে আর দেখলেন না ভিতরে কি আছে আসলে বাবা বুঝতেই পারছো বয়স হয়েছে তাই উত্তেজনার বয়সের ওই ভাবে কথাটা তোমার বলা হয়েগেছে কিছু মনে করো না বাবা ভ
ুবনের গলায় আবার সেই পুরনো মিষ্টুতাটা ফিরে এসেছে ভুগতেছ না প্রবীর বুঝে উঠতে পারলো না যে ভুবন ভরা কিসের উত্তেজনা উত্তেজিত হওয়া অবাক হওয়ার কথা তো প্রবীর ভুবন কিসের জন্য উত্তেজিত প্রবীর এই সব কিছুই ভাবছিলো অমনি হঠাৎ একটা বিকট শব্দ করে ঝাকুনি দিয়ে বাসটা থেমে গেলো সিট থেকে গলা বাড়িয়ে ভুবন কন্ডাক্টর কে জিজ্ঞেস করলেন আরে কনডাক্টর বাবু কি হলো কি হলো সেটা জানার জন্য বাস থেকে নিচে নামছিলো কন্যা নামতে নামতে বললো ওস্তাদজি ও মেগানিকভাবে ফোন করো সে সবার আগেই কথাগুলো মিলিয়ে গেল দেরি হবে শুনে পাপড়ি সোজা
করে নিতে কয়েকজন যাত্রী বাস থেকে নিচে নামছে রবির পকেট থেকে ফোনটা বের করে ছোট্ট সবুজ রঙের স্ক্রিনের উপর তাকিয়ে সময়টা দেখে নেবে কটা বাজে ০৭:১৫ তার মানে এখনো ঘন্টাখানেকের পথ বাকি চলো নিজ থেকে একটু ঘুরে আসি যা দেখছি এক্ষুনি ঠিক হয়না যে রাস্তাটা দিয়ে বাসটা যাচ্ছিল তার একদিকে পাহাড় আর অন্য দিকটা খাঁদের মত নিচের দিকে নেমে গেছে রাস্তার ধারে লোহা রেলিং বসা বাস থেকে নেমে ভুবন রেলিং এর ধারে গিয়ে দাঁড়ালো পেছন পেছন নেমেই লোক রোগী মাঝেমধ্যেই একটা একটা গাড়ি তাদের পাশ দিয়ে হুশ হুশ করে বেরিয়ে যাচ্ছে মে
ঘ সম্পূর্ণ সরে গেছে মেঘমুক্ত আকাশে রুপলী থালার মতো চাঁদটা দেখে প্রোগ্রামে মনে হচ্ছে স্বর্গের কোন চিত্রশিল্পের নিখুঁত তুলির কাজ হোক প্রবীর নিচের দিকে তাকিয়ে দেখলো ঢালবের কুয়াশার একটা চাদর নিচের থেকে নেমে গেছে তার ওপর চাঁদের আলো এটা হল নৈসর্গিক দৃশ্য রচনা করেছে এইরকম দৃশ্য প্রবীর জীবনে প্রথম ১২ দেখছি যে পুরোটা দিয়েছিলাম ওটা তোমার ভাইয়ের শরীরে ভালো করে মাখিয়ে দিয়েছো প্রবীর হা করে তাকিয়ে ছিল নিচের দিকে ভুবনের কড়া প্রশ্নের কল্পনার জগত থেকে বাইরে বেরিয়ে জবাব দিব হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ কিন্তু ওটা ক
ি ছিল আরে বেশি কিছু না একরকম পা ওটার ওটা লাগালে বেশি মজবুত হয় এবার দাও এবার ভাই ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আমাকে কি খাওয়াবে বোলো আপনি যা চাইবেন আচ্ছা আপনার গ্রামের নামটা কি যেন বললেন ওই তো মালাম বাস যখন আবার ঠিক হল তখন রাত দশটা বেজে গেছে সকালে উঠে আসতে বাস ছেড়ে দিল সারাদিনের ধোয়া হলেই প্রকৃতির একটা চোখ লেগে গিয়েছে আরে ও ভাই কোলের ব্যাগটা কোলেই আছে ব্যাগ হাতে দেখলো টাকা পয়সা সব ঠিকঠাক আছে বাসার মধ্যে প্রবীর ছাড়া আর কোন যাত্রী নেই ওকে ডেকে দিয়ে কন্টাক্টর বাস থেকে নেমে গেছে ফোন বের করে সময়টা দেখে
নিল রাত ১ হাথে ঘুম জড়ানো গলায় কবির ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে কন্টাকটা কে জিজ্ঞেস করুন ভাইসাব আমার ৭ যুগ ঘুডাদ মিঞা থব ও কাহা কাহা হে কাহা হে গন্ডারটা ততক্ষণে সিড়ির একধাপ নেমে গেছে সামনে রেলিংটা ধরে দাঁড়িয়ে কিছু একটা ভেবে নিয়ে বলো এরকমই কিছু একটা সন্দেহ করেছিল প্রবীর না হলে শুধু শুধু সব জিনিস আগে ভাগিয়ে কেন নিয়ে নিলো লোকটা সবথেকে বড় কথা ওর ভাইয়ের নখ চুল রক্ত নিয়ে লোকে করবে টাই বা তো লোকে প্রতারণা করে টাকা পয়সার জন্য ব্যাগে টাকা যেমন ছিল তেমনই আছে কন্ঠটা জিজ্ঞাসা করল পেচাল পেচাল ঠিক আনা পেয়
ালে উষ্ণতা দিয়ে দিয়ে রবির নিজে ব্যাগটা নিয়ে গভীর ও বাস থেকে নেমে ইচ্ছে করছে না আর লোকটাকে ফোন করতে তবে খুব জানতে ইচ্ছা করছে সে কেন এই প্রতারণা করলো সবচেয়ে বড় কথা এটা কি ধরনের প্রতারণা কি পেল সে এটা করে বুকে অনেকখানি আশা বেঁধে গভীর এসেছিল ভুবনের সঙ্গে ও কি চান তো ভুবনে ওর শেষ ভরসা আর ফিরে যেতে ইচ্ছা করছে না বৌভাতী বিয়ে করবেটাই বাকি আশাটুকুও তো শেষ বাসের পাশে দাঁড়িয়ে এসব কথা ভাবছিল ওমনি দূরে কোথাও একটা সাইকেল বেলের প্রিন্ট ক্রিম শব্দ শুনতে পেল প্রবীর অন্ধকার ও কুয়াশায় প্রথমটায় কিছু বোঝা
না গেলেও শব্দটা আরো একটু সামনে এগিয়ে লেখো আমি দেখলো যেটা কেউ সাইকেল করেছিল সেটা আসলে একটা রিক্সা রিক্সাটা আরো একটু এগিয়ে এলো কবির দেখলো একটা মাছ বয়স লোক মাথায় গামছা বেঁধে রিকশাটা চালাচ্ছে আর সামনে দুটো ব্যাগ রেখে এ সিটে বসে আছেন ভুবন ভরা রবিন এর বুকের ভেতরটা হঠাৎ করে এ কেমন যেন খালি হয়ে গেলো উত্তেজনা হয়তো মাথাটাও খালি খুন নিজের অজান্তেই গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো দুটো নোনা জলের ফোঁটা আশার আলো আবার জ্বলে উঠেছে সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি আনন্দে লাফিয়ে উঠতে ইচ্ছা করছিলো প্রমিরী উত্তেজনা চেপে রাস্ত
ার দিকে উড়ে গিয়ে গেলো ওর সামনেই রিক্সাটায় এসে থামতেই ভুবন বললেন আউট হয়ে গেছে তো আমি ভেবেছিলাম আমাকেই হয়তো এগুলো ঘুম থেকে তুলতে হবে আরে হ্যা উঠেই এসব বলি হাত বাড়িয়ে রবির ব্যাগটা ধরে নিলেন ভুবন তারপর রবির রিকশায় উঠে ভুবনের পাশে বসলো ভ্রমণ চালুকে উদ্দেশ্যে বললে চল আর শোন্ জঙ্গলে রাস্তা দিয়ে যাবে তাড়াতাড়ি যাওয়া যাবে এত রাতে জঙ্গল দিয়ে নানা বড় রাস্তা দিয়ে যাবো জঙ্গলের রাস্তা ভালো না আরে রাত তো কি হয়েছে তুই শালা মাগি নাকি রে যে রাতে ভয় পাচ্ছিস জঙ্গলে কি বাঘ ভাল্লুক আছে নাকি কাজে না বক
ে যেমন বইছে তেমন চল মাথা গরম করা যায় না আর যাদের গান শুনে তারা তো ঠিক সময় না পৌঁছতে মারলে বিপদ হয়ে যাবে চল চল চল করোনা চলে গেলে অনেক দেরি হয়ে যাবে এই মরণ পার বাঘ ভাল্লুক কে ভয় পাই না আপনাকে দেখে তো এখানকার লোক বলেই মনে হচ্ছে আপনি জানেন আমি বাঘ ভাল্লুকের কথা বলছি না আজ আবার রিক্সাওয়ালার কথা শুনে কবির ভুবনকে একবার খোঁচা মেরে দেয় বিশেষ করে জিজ্ঞেস করবো কি বলছে ও এত করে বলছে যখন আমরা বড়ো রাস্তা ধরে যাই হাতের ইশারায় কবিরকে যোগ করতে বলে ভুবন রিকশাওয়ালাকে বলে তুই জানিস না গোটা আসামে জঙ্গলের ব
েপারে বোঝা যাই সব গুটিয়ে বেড়ায় চল চল আর দেরি করিস না ৩ জন আছি কিছু ভয় এর নাই ডবল ভাড়া দেব যা দেখেই মনে হল ডবল ভাড়া টোপটা রিক্সাওয়ালা কিনেছে মাথা নিচু করে কিছু একটা ভেবেই সে বললো ও তবে আরো ৫০টাকা বেশি লাগবে আচ্ছা বকশিশ চাল চোরের বাচ্চা টা আমার নরাই ফোন ধরছে না ঠিক আছে পাবি পাবি সব পাবি তাড়াতাড়ি বাড়িতে পৌঁছে দে আগে চল আরে জঙ্গলে এখানে আসার পর থেকেই গৌরব ঘোড়ার আগের দিন পাল্টে গেছে এই লোক যেন সকালে পরিচিত হওয়া সেই লোক ৯ চরিত্রের মধ্যে তার নম্রতা গলার মাধুরী যে কিছুই আর নেই কথাবার্তার মধ্
যেও আমুর পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে এ যেন সম্পূর্ণ অন্য একটা মানুষ রিকশায় যাওয়ার একটা পথ ধরে জঙ্গলের রাস্তা খুললো বকশিশের লোভে বেশ জোরে চলছে তোকে সকাল থেকে সব কথাই ঘুরিয়ে পেচিয়ে এলিয়ে বিলিয়ে বলছি পরিষ্কার করে কিছুই বলছে না অনেকবার রবিবার জিজ্ঞেস করেছে কিন্তু কোনো ভুল হয়নি ভুবনকে এখন আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না প্রবীর বলা ভালো লোকটাকে কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পেলো কয়েক মিনিট আগে লোকটা জীবন্তির সঙ্গে পরিচিত হলো তারপর তো একেবারেই ৯ রোগীরের পায়ের কাছে ভুবনের দুটো ব্যাগ থাকার কারণে তা সোজা করে বুঝতে পার
ছিল না ডান পায়ে ঝিঝি ধরে গেছিল এইদিক ওদিক সরাতে গিয়ে প্রায় শক্ত কিছু একটা ঠেক দিয়ে প্রবীর দেখলো ভুবনের একটা ব্যাগের তলায় ১/২ চাপা দেওয়া আছে ১ হাতে ধরা যায় এই রকম সাইজের একটা পাথর রিক্সায় ইতিমধ্যে জঙ্গলের বেশখানিটা ভিতরে চলে এসেছে রিক্সাওয়ালার টিন টিমের টর্চ টা চেয়ে চারপাশে চাঁদের আলোর জোতি অনেক বেশি প্রবীর ঘাড় ঘুরিয়ে চারপাশে ভালো করে দেখে নিন চতুর্থ গেড়েটা অদ্ভুত আলো ছায়া খেলা করছে শিশির পড়া গাছের পাতায় চোখ রাখলে মনে হয় কেউ যেন চুপিচুপি পাতাগুলোর উপর হীরের টুকরো রেখে দিয়ে গেছে
গাছের মাথায় মাথায় রূপালী জোছনা বেধে সেটা গাছ অশান্তি পরিবেশে রচনা করেছে কতক্ষন রিকশায় কাটলো আধঘন্টা হয়তো রবির দেখলেও ভুবন চোখ বন্ধ করে কি একটা গানের সুর কাঁদছে স্থান নিয়ে কোনো গান করি না কারণ রবীন্দ্রনাথ সুরটা বেশ পচে না ঠিক হয় অদ্ভুত নেশা মিশে আছে সুখ চোখে পাতা ভারী হয়ে এলো প্রকৃতি এবরোখেরো জঙ্গলে রাস্তার উপর দিয়ে রিক্সা ছুঁড়ছে সম্ভবত একটা গাছের ডালে ওপর দিয়ে একটা চাকা চলে যাওয়ার প্রচন্ড একটা ঝাঁকুনি দিয়ে রিকশাটা বেশ খানিকটা কাধ হয়ে গিয়েছিল পড়ে রিকশাচালক মদনের কৌশল সামনে কাটে হঠা
ৎ ঝাকুনিতে ভ্রমণের সুরভাজায় ব্যাঘাত ঘটেছে গুমগুনানি থামিয়ে ভুবন হঠাৎ বলে ওঠে ওই শুয়োরের বাচ্চা ঠিক করে চালাতে বসিস না দেখি শালা হারামির বাচ্চা পরে গেলে কি হতো ভবন আরো বিভিন্ন অশ্রু ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করলো মগনরা শুনছি এইমাত্র বেরিয়ে যেতে চলন্ত রিকশাটা থামাতে থামাতে মহম্মদ বলল এই অনেক হয়েছে অনেক হয়েছে আর না সেই উল্টো থেকে তুই আমাকে যা নই তা এখন বলে যাচ্ছিস আমি আমি এখন এখনি গাড়ি ঘোড়াচ্ছি মদন যখন কথাগুলো বলছিল প্রবীর দেখলেও ভুবন সেই ফাঁকে হাতে তুলে নিয়েছে তার ব্যাগের তলায় রাখা পাথর
টা রিক্সা থামিয়ে মদন যেই না পেছন ফিরেছে ওমনি ভুবন পাথরটা সজয় মারলো মদনের মাথা এককালের স্বাস্থ্যবান হাত স্বাস্থ্য চলে গেলেও হাতের ঝড় এখনও রয়ে গেছে পাথরের একটা আঘাতেই গুমাতে গুনাতে সিট থেকে নিচে পড়ে গেল ঘটনার আকর্ষণীকতা রবিরের হৃদস্পন্দন কয়েক মুহূর্তের জন্য থেমে গেল হতভম্বের মত একবার তাকাচ্ছে মদনের দিকে আরেকবার ভুবনের দিকে ভুবন এতোক্ষণে রিকশা থেকে নেমে সেই শুরুটা আবার হাসতে শুরু করেছে মদনের মাথা থেকে ছিটকে আসা রক্ত ভুবনের সারা মুখ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে জ্যোৎস্না রুপালি আলোয় কি বিভৎস দেখাচ্ছে
ভুবনকে পাথরটা হাত থেকে ফেলে বের থেকে একটা দড়ি বের করে ভুবন এগিয়ে গেল মাটিতে পড়ে গৌড়বমো শব্দ করতে থাকা মদননী কোন ১ সম্মোহনের প্রভাবে রবির এই সবকিছুই চুপচাপ দেখছে বহু চেষ্টাতেও মুখ দিয়ে একটাও কথা শুনলো না নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না এই কি সেই সকালে পরিচিত হওয়া লোকটা না এই অসময়ে এখন প্রবীর যাকে দেখছে সে মানুষ ৯ সে একটা নরপিশাচ যে নির্দ্বিধায় বিনা কারণে মানুষ খুন করে ভূমিকম্প দড়িটা দিয়ে বিচ মোড়া করে লোকটাকে বাঁধতে ব্যস্ত তা বোধায় ট্রলির সংগীত এর ওই আদেশ পালন না করার কোনো সাহস প্রয
়োজন নেই রিকশা থেকে নেমে কাঁপা কাঁপা গলায় প্রবীর বলল লোকটা কে মেরে ফেললেন আপনি কিন্তু কেন না না মারেনি এখনো রাধে মারবো না তারপর মাথার উপরে চাঁদের দিকে তাকিয়ে রহস্য করা গলায় ভুবন গোড়া বললো একে মারলে আমাদের কাজ হবে কি করে একটা কাজ করো ঘাটটা মাটির সঙ্গে চেপে ধরো তো দেখি এতো নব সেবাটা বাদ নেই ই দিচ্ছে না রবি রায়ের কোনো প্রশ্ন করে না চুপচাপ ভুবনের কথা মতো কাজ করে যায় প্রথমে লোকটার হাত দুটো বাধা হলো তারপর পা দিলো তারপর একটা ধনুকের আকার দিয়ে দুটো হাত দুটো পা আর কোমর টাকে আর একটা মোটা শক্ত দড়ি দ
িয়ে বেঁধে ফেলা হলো নাও গানটা ছেড়ে দাও এবার না হলে নিচের নামই তো করে মোরে যাবে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে ভুবন উঠে দাড়িয়ে হব আছে রবিন উঠে দাড়ান কটা কটা বাজে রক্ত মাখা কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা বের করে রবি বললো ফোনে বারোটা ওপরে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে হুগল বললো বেশি সময় নেই বারোটা বেজে ৪৭ মিনিটে দিচ্ছি এখন অনেকটা রাস্তায় যেতে হবে চলো কোথায় যেতে হবে আমরা তো ডাক্তারের কাছে যাবো বলে এসেছি দাদা একে তুমি এভাবে মারলে বা কেন অযথা প্রশ্ন করে সময় নষ্ট করো না আমি ডাক্তার এর কাছে যাচ্ছি আর একে মানলাম ক
েন মনে করো এইটাই ডাক্তারের ফেভারিট ভোলে ভুবন তাচ্ছিল্য হাতে দড়িটা ধরে অনায়াসে তুলে নিল মরণের ধূমপান প্রবীরের সারা শরীরে একটা কম্পনের সৃষ্টি হয়েছে কি করছে ওই সময় একটা পাগল একটা খুনির আদেশ পালন করছে এ ছাড়া আর কিইবা করা গেছে নিজের অজান্তেই ও নিজেকে একটা গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্যে ঠকিয়ে ফেলেছে পিছিয়ে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা এখন বন্ধ রিক্সার কাছে গিয়ে ভুবনের কালো ব্যাগের পিঠেটা ঘাড়ে ঝুলিয়ে নিজের ব্যাগ টাও পিঠের ওপর তুলে নিল প্রবীর আর একটা কাজ ও যেটা করলো মাটিতে পড়ে থাকা রক্ত লাগা পাথর টা কুড়িয়ে
নিজের ব্যাগে ঢুকিয়ে নিল তারপর ভুবনকে অনুসরণ করে রাস্তার পাশেই একটা ছোপের আড়ালে মিলিয়ে গেল প্রতি প্রায় মিনিট ১৫ হতে চলল প্রবীর ব্যাগ দুটো নিয়ে ভুবনকে অনুসরণ করে শুকনো পাতার ডালপালা মাড়িয়ে জঙ্গলের আরো গভীরে ফিরছে রাতের জঙ্গল সবদিকেই একই রকম দেখায় তা সত্ত্বেও গন্তব্যে পৌঁছানোর রাস্তা খুঁজে নিতে ভুবনের কোনো অসুবিধাই হচ্ছে না অবশেষে একটা জায়গায় পৌঁছে ভুবন থামল এখানটাই জঙ্গল অপেক্ষা কৃত পাতলা চাঁদের আলোয় পুরো জঙ্গলটাই বেশ আলোকিত হয়ে প্রবীর দেখলো সামনে পাথর নির্মিত আরে লম্বে প্রায় হাত দশে
র অল্প উঁচু একটা চাকা ভবন মদনের দেহটা মাটির উপর প্রায় ছুঁড়ে ফেলে দিল গোটা রাস্তায় ভুবন একটাও কথা বলেনি শুধু সেই গানের সুরটা গুনগুনিয়ে গেছে ভুবনের মুখের উপর রক্ত টা শুকিয়ে কালো হয়ে গেছে হাঁপাতে হাঁপাতে ভুবন মদনের দিকে ইশারা করে বললো মুখটা বেঁধে দাও নাহলে জ্ঞান ফিরলে চিৎকার চেঁচামেচি করবে যদি এখানে শোনার কেউ নেই তাও এরা চেঁচালে কাজ করতে বড্ড অসুবিধা হয় একবার ব্যান্স করলে আর মারতে পারবে না কথাটা বলেই ভুবন ডান হাতের কুচির উপর দাঁতে কাটা জায়গাটা দিকে দেখে নিও একবারে যাই হোক আমাকে একজন জিনিস ১
জায়গা থেকে আনতে যেতে হবে তুমি ততক্ষণ এটার উপর নজর রাখো প্রবীরের কাছ থেকে কোন কিছু শোনার অপেক্ষা না করে ভুবন জঙ্গলের গাছ গাছালির মধ্যের অন্ধকারে কোথায় যেন মিলিয়ে গেল পকেট থেকে রুমাল বের করে ১ হাত আর দাঁত দিয়ে মদনের মুখটা বেঁধে ফেলতে বেশ বেগ বেঁধে হল প্রবিত্র বাধার সময় কবির বারবার একটাই কথা বলছিল আমায় ক্ষমা করে দাও আমায় ক্ষমা করে দাও আমি জানি না এসব কি হচ্ছে কেন হচ্ছে আমি আমি শুনতে চাই আমার ভাই সুস্থ হয়ে যাক আমার ক্ষমা করে দাও মুখটা বাধা হয়ে গেলে প্রবীর থুপ করে মদনের পাশে বসে গোলচাঁদটার
দিকে তাকালো রুপোলি জোসনায় ভিজে যাচ্ছে প্রবীরের সারা শরীর নিজেকে ক্লান্ত লাগছে শারীরিক মানসিক দুরকমভাবে চোখ বুজে নিজের বর্তমান অবস্থার কথা একবার ভেবে নিলো প্রবীর ভাই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লোকচে বাঁচবে না মরবে কেউ জানে না দুর্ঘটনার কথা বাড়িতে এখনো জানেনা কেউ নিজের ডান হাতটা প্রায়ই উঠে যায় এই হাতে ভবিষ্যতে কোন বাড়ি কাজ করা অসম্ভব বলে জানিয়ে দিয়েছে ডাক্তারের সুতরাং পুরনো চাকরি ফেরত পাওয়ার কোন সম্ভাবনা আর নেই মাঝ সমুদ্রে খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরেছে ভ্রমণ পোড়ায় ভরসা পেয়েছিল লোকটার কথা মনেই
একটা আশা জাগিয়েছিল লোকটা হা আশা বেঁচে থাকার ভাইকে বাঁচিয়ে তোলার একমাত্র আশা জীবনে প্রথমবার কাউকে এতটা বিশ্বাস করেছিল পপুলার ক্রিয়েটর এখনও জঙ্গলের মধ্যে একা বসে আছে একটা আধ মরা লোকের পাশে লোকটা যে মরবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই এই খুনের দায়ভার কি তার ওপরে উপর থাকে অজান্তেই চোখ থেকে জল ভরিয়ে পড়লো প্রবীর ভূবনের ডাকে ও চমকে উঠল কটা বাজে সাড়ে বারোটা বেশি সময় নেই আতে ওকে ক্লান্ত তান্তব্যে দুইটার ওপরে নিয়ে এসো ভুবন ইশারা করছে পাথরের চাদরটার দিকে রবির এবার লক্ষ্য করলো ভুবনের দুহাতে ধরা আছে একটা
বাক্স বাক্সটা খুব একটা বড় ৯ অনায়াসে একটা মাঝারি ব্যাগের মধ্যে ঢুকে যাবে জিনিসটা দেখতে একটা সিন্দুকের মতো সাদা রং বাক্সটার উপর পাথরের বিভিন্ন কারুকার্য করা আছে গভীরে ১ ঝটকায় বাক্সটা দেখে ছোটবেলায় পরা রূপকথায় বর্ণিত বাক্সগুলোর কথা হঠাৎ মনে পড়ে গেল মদনের শরীরটা টেনে হিজড়ে চকচকে কালো পাথরটার কাছে নিয়ে এলো প্রবীর ভুবন ওকে ইশারা করলো পিছিয়ে যেতে প্রভু পিছিয়ে এলে ভুবন গিয়ে বসলো কালো পাথরটার সামনে মাংসটা নামিয়ে রাখলো পাশে এরপরের পাঁচটা মিনিট প্রবীর হতভম্বের মতো দেখে গেল ভুবনের কার্যকলাপ এসব
কিছু আগে কখনো দেখেনি শিশিরের ঠান্ডা বাতাসে কাটা বারবার কাটা দিয়ে উঠছে ভুবন তার কালো একটা থেকে একটা ডাইরি আর একটা চক্করের মতো জিনিস বের করে আন তারপর ডাইরি দেখে দেখে মদনের নিথর শরীরটা চারপাশে বিভিন্ন রকমের নকশা আঁকতে শুরু করলো আঁকতে আঁকতে ভুবন ছবিতে বলল মন দিয়ে দেখো এটা হল আত্মা বন্ধন চক্র এটা আঁকার পরে যদি মরেও যায় রাস্তায় গন্ডির ওপারে যেতে পারবে না তারপর ব্যাগ থেকে বের করে আনল একটা কৌটো কৌটোর ভেতরে ধূসর রঙের একটা কৌটো এই পুরোটাই ভুবন সকালে প্রবিত্র দিয়েছিলেন অজান্তেই গভীরের শরীরটা একবার কেঁ
পে উঠলো বুড়োটা মদনের দেহের উপর ভালোভাবে মাখিয়ে দিতে দিতে পবন হলো এখন করছি বৃহস্পতিবার জিনিসটা ১ সৎ ব্রাহ্মণের পাঁজরের হাড়গুলো করে বাড়ালো পাঁজরের হাড় মনে থাকে যেন অন্য কোথাও ৯ আবার যদিও খুবই মুশকিল কিন্তু চেষ্টা করলে হয়ে যাবে তারপর খুদা আকাশের দিকে তাকিয়ে ভুবন বললো বেহায়া সুন্দর না হলে সে ওরা আসে না তারপর কৌটোটা সযত্নে ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে বাকি জিনিসগুলো বের করে আনলো একে একে মদনের দেহের চারপাশে সমান সমান দূরত্বে বিশেষ কয়েকটি চক্রে রাখতে শুরু করে প্রবীরের নিয়ে আসা সুমনের চুল নখ দানা তার
চামড়ার টুকরো ছোট্ট শিশিতে রাখা সুমনের রক্তটা ভালো করে মাখিয়ে দিলো মদনের কপাল এরপর নকশা করা সাদা বাক্সটা নিয়ে এসে রাখলো মদনের শরীরের চারপাশে আঁকা গন্ডিটার ভিতর তারপর বাক্সটার উপর হাত রেখেই ডাইরিটা দেখে দেখে ভুবন পাঠ করতে শুরু করলো দুর্বোধ্য কিছু বন্ধ রবিবারে মনে হল যেন জঙ্গলে ঝড় শুরু হয়েছে অথচ গাছের একটা পাতাও নড়ছে হাতের ইশারায় ভুবনভোগীকে বলল বেদি থেকে নিচে নেমে যেত প্রবীর নিচে নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বাক্সের ঢাকনাটা খুলে বেদী থেকে ১ লাফে নিচে নেমে এসে প্রবীরের প
াশে এসে বসলো এই সবকিছুর পর থেকে বড় কিছু অলৌকিক অপ্রাকৃতিক কিছু ঘটবে এরকম আশা করেছিলেন কিন্তু না সেরকম কিছুই হলো না জঙ্গলের অদৃশ্য ঝড় ও যেন থেমে গেছে সবকিছু আগের মতই এখন শান্ত জঙ্গল গোল চাঁদ আর রূপলি চলছে কিছু হলো না তো রবিনের কথা শুনে ভগবান একটু হাস তারপর ঠোঁটে তর্জনে ঠেকিয়ে চুপ করতে বললো কতক্ষণ সময় কেটেছে কত রাত এখন রবির বসে বসে ঢুলতে শুরু করেছিল ভুবনের কোণে কোচায় চমকে উঠল প্রবীর চোখ দুটো খসে সামনে চেয়ে দেখল অন্ধকারের মধ্যে একটা উলঙ্গ রুপোলি আলোর রেখা ফুটে উঠেছে চাঁদটা এখন মদনের শরীরের ঠি
ক ওপরে দেখে মনে হচ্ছে আলোর উচু আকাশে ওই চাঁদ ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হচ্ছে আলোটা বুঝতেও বাড়ছে শেষে জোমের মতো একটা আকার নিয়ে আলোটা ঘিরে ফেলল মদনের চারপাশে আকাবৃদ্ধতা বৃত্তের চারপাশে আঁকা চক্রগুলো থেকে হোক ওই একই রঙের আলো নির্ভর করছে কিছুক্ষণ এইসব চলার পর কবির দেখলো সেই রুকুলি আলোর জং ধরে নেমে আসছে একটা পতঙ্গ ভালো করে দেখে কবি বুঝলো ডানা থাকলেও যেটা নেমে আসছে সেটা দেহ পতঙ্গের মতো ৯ আগরণহীন ঊর্ধাঙ্গিনী একটি নারী ধীরে ধীরে নেমে এলো মদনের বেগের উপর তারপর দুটো ডানা দিয়ে ঢেকে ফেলল মদন কে বেশ কিছুক্ষণ কেটে
গেল এভাবে দেখে মনে হচ্ছে লম্বে শোয়ানো বড় আকারের একটা পিউপান যার সারা গা থেকে বিচ্যুত হচ্ছে রুপোলি রঙের আলো এরপরে দৃশ্য দেখে রবিরের শিরদাঁড়া দিয়ে একটা বরফ জলের স্রোত হয়ে গেল রবির দেখলো আলোর চমকার ভেতর একটা দৃশ্য ফুটে উঠছে একটা ঘর একটা বিছানা বিছানার পাশে রাখা আছে বিভিন্ন রকমের যন্ত্র একটা যন্ত্রের একটা লাল রঙের আলো নির্দিষ্ট একটা ছন্দে দক দক করছে অন্য একটা যন্ত্রে ওই ছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন রঙের রেখা ফুটে উঠছে এই ঘরটা খুব ভালোভাবেই জেনে ফেল বিপদে ষোলদিন ধরে দেখছে এই ঘরটাকে কখনো ভেত
রে ঢুকে কখনো দরজায় লাগানো কাঁচের ছোট্ট জানলাটা থেকে এরপর বিছানাটার উপর ভেসে উঠলো সমুদ্র তার বুকের উপরেও একটা আলোর জোন তৈরি হয়েছে ঠিক এখানকার মতো ভুবন ফিসফিস করে বললো জীবন শক্তি সঞ্চারিত হচ্ছে কিছুক্ষণ এই দৃশ্য দেখার পর যা ঘটলো সেটা দেখে যেন আকাশ থেকে পড়লো প্রবীর ও ভাই দীর্ঘ ১৬ দিন কোমায় থাকার পর ধীরে ধীরে বিছানার উপর উঠে পড়ছে রুপলী আলোটা এবার ম্লান হতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে দৃশ্যটা মিলিয়ে যাচ্ছে আলোক রশ্নিটা ধীরে ধীরে ঢুকে যাচ্ছে বাক্সটার ভেতর শেষ আলোকবিন্দু টা ঢুকতেই ভুবন প্রায় দৌড়ে গিয়
ে বাক্সটা বন্ধ করে দিল রুবিরে উঠে দাঁড়িয়ে ছিল দেখলাম যে জায়গাটায় মদনের দেহটা পড়েছে সেখানে আর কিছুই নেই শুধু একটা কালো দাগ কি ঘটলো বুঝতে আর বাকি রইল না প্রবীরে সবকিছুই জলের মতো পরিষ্কার তার মনে একটাই প্রশ্ন এ জিনিস ভুবন পেল কোথায় এটা খুব কাজের জিনিস এটা থাকলে কত কি না করা যাবে জীবনে কখনো কোন রোগ জ্বালা কিচ্ছু হবে না হয়তো অমরত্ব পাওয়া যায় বেঁচে থাকা যাবে আদি অনন্তকাল এসব করে ভাবা যায় এখন সময় ৯ এসব কিছু ভাবা এখন সময় মনে মনে একটু হেসে নিল ভগবান তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল বেদির উপর বসে থা
কা ভুবনের পেছনে ভুবন এখন বাক্সটা বুকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে মন ভোরে না তোমার একটা বোকা একজন অচেনা অপরিচিত লোক কে এসব জিনিস কখনো দেখাতে আছে নিজের বিবেক কেমন নিজেই ডেকে আনলে বাম হাতে প্রবীর ব্যাগ থেকে বের করে আনলো সেই পাথর তারপর সেটা সোজা বসালো ভুবনের মাথার পেছন সময় নষ্ট না করে পবিত্র এবং ডায়েরিটা নিজের ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে নিলো আর সঙ্গে নিলো ভুবনের কালো ব্যাগটা ফোনে দেখলো রাত তিনটে বাজে তারপর যে পথে এই জায়গায় এসেছিল সেটা শিখে ফিরে গেল রিকশাটার কাছে ভুবনের ব্যাগ দুটো রিকশা থেকে ফেলে রিকশার মুখট
া ঘুরিয়ে নিয়ে সেটা চালাতে শুরু করবে বাঁচতে কন্ট্রাক্টারকে ভাড়াটা মিটিয়ে জানার দিকে সরে এসে বসলো কবি রিক্সাটা খুব জোরে চালিয়ে কাটায় কাটায় সাড়ে তিনটেতে পৌঁছেছিল বাস স্ট্যান্ড আর একটু দেরি হলেই হয়তো বাসটা ছেড়ে দিল কন্টাক্টর লোক টা জিজ্ঞাসা করেছিল কাল রাতে রবির ওই বুদ্ধা আন্নিটাকে খুঁজে পেয়েছিলো কিনা না শোনার ভান করে প্রবীর কথাটা এড়িয়ে যাই কথায় কথা বাড়ে তাই ওর মনে হয় ভুবনের ব্যাপারে কারোর সঙ্গে আর কথা না বলা উচিত মন কে একেবারে শেষ করে ফেললেই হয়তো ভালো হতো অতঃপর কৃতজ্ঞতা বসে থেকে ভুব
নকেও প্রাণে মারে না এসব আর কিছু ভাবতে ভালো লাগছে না নিজেকে খুব ক্লান্ত লাগছে লাগবে নাই বা কেন কম ঢোকল গেলো এবার একটু ঘুমোতে হবে সদ্য ছিনিয়ে নেওয়া আশ্চর্য জিনিসটা খুব আদরের সঙ্গে গোলের মধ্যে চেপে ধরে চোখ বুজে জানলার ফাঁক দিয়ে গাছ এ সিঁড়ে ঠান্ডা বাতাস রয়েছে একটা ঘুম ঘুম ভাব এসেছিল অমনি ওর ফোনটা বেজে গেল ফোন বের করে দেখলো আননোন নাম্বার রবি ভাবলো হয়তো হাসপাতালের ফোন দীর্ঘ ষোলদিন ঘুমায় থাকার পর রুগী আবার উঠে বসেছে ফোন তো তারা করবে ওদের নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হচ্ছে আর যে পয়সা চুষতে পারবে না মনে মনে
একটু হাসলো প্রবীর আসল চিকিৎসা পদ্ধতির কথাটা মনে করতেই গাছ ইউড়ে উঠলো ভালো করে দুটো কথা শুনানোর জন্য অনিচ্ছাসত্বের ফোনটা রিসিভ করলো ফোনের পাশে একটা অদ্ভুত নীরবতা কান থেকে ফোনটা সরিয়ে প্রবীর একবার দেখে নিল কলমি ডিসকাউন্টেড হয়ে গেছে কিনা বল তো চলছে হ্যালো এবার একটা উত্তর পাওয়া গেল অভ্যাস থেকে গলাটা কবিরা নদী পরিচিত এখন রুক্ষ ভাবনা সম্পূর্ণ কেটে সেই পুরনো মিষ্টতাটা আবার ফিরে এসেছে তবে কলাটা একটু চাপাচাপা হয়তো মাথায় চোটের কারণে এরকম শোনাচ্ছে রবীন্দ্রজয়ন্তী বাকি রইলো না ফোনের ওপারে আর কেউ নেই আ
ছে ভুবনভোরা বাবা ব্যাগগুলো রেখে দিয়ে গেছো তো এতে আবার আমার সব পুরনো জামাকাপড় গুলো আছে ভুবনকে যেহেতু প্রাণে মারেনি তাই ফোন যে একটা আসবে সেটা আন্দাজ করেছিল প্রব্লেম কিন্তু এত তাড়াতাড়ি আসবে সেটা ভাবতে পারিনি এই প্রথম টা একটু ভাব এ গেলে নিজেকে সামলে নিন বলুন হ্যাঁ ওটা নিয়ে ভাববেন না রিক্সাটা যেখানে ছিল ওখানে রেখে এসেছে আর একটা কথা কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপচাপ নিজের গ্রামে ফিরে যাবে সেটাই আপনার জন্য ভালো হবে আছি তো না বলছি তো না বলছি তোমার কিসে ভালো হবে সেটাও একটু শুনে নাও আমার কিসে ভালো হবে মান
ে বলছি বলছি সেটা বলার জন্যই তো মনটা করা এত দূরে মেরেছো একদম টানটান করছে মাথাটা পুরো ব্যাপারটা খুবই কঠিন ফোনের ওপাশে গলাটা ঝেড়ে পরিষ্কার করে নিয়ে ভুবন বলতে শুরু করলো যে জিনিসটাকে তুমি আমার কাছ থেকে ফিরিয়ে তুরি নিজ মনের স্বেচ্ছায় গ্রহণ করে নিয়ে গেলে সেটা প্রথম দেখায় অপরাধ আশীর্বাদ মনে হলেও আসলে কিন্তু ওটা একটা মৃত্যুর চেয়েও ভয়ংকর অভিশাপ বাসটা ঢালু পাহাড়ি রাস্তা ধরে তীরের বেগের নিচে নেমে গেছে জানলায় ফাঁক দিয়ে আসা ঠান্ডা বাতাসের কারণেই হয়তো রবিনের গায়ে কাঁটা দিয়ে প্লাস্টার করা হাতটা দি
য়ে কোলের বাক্সটাকে আরও জোরে চেপে ধরলো ভ্রমর অশুভ কিছু রাশন কেন ওর হৃদস্পন্দন হটাৎ বেড়ে গেলো অভিশাপ মানে ফোনের ওপাশে একটা খ্যাক খ্যাকে পয়সা চেয়ে হাসি শুনতে পেল প্রবীর আরে বলছি বলছি একটু রসগোতা বাবু তবে তোমার এই গুণটির জন্যই কিন্তু আমি তোমার বিশেষ ভাবে নির্বাচন করেছিলাম নির্বাচন মানে কি কি জন্য নির্বাচন করেছিলাম এই যে কাল যেটা করলাম সেই জন্য বাজেট টাকাতে শুধু তুমি নও তোমার আগে অনেককেই আমি এই অলৌকিকে খেলা দেখিয়েছি যাতে তোমাদের মধ্যে অন্তত কেউ একজন এই খেলা দেখে মুগ্ধ হয়ে আমার ম্যাজিকের চরণ জবট
ি চুরি করে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে প্রতি পূর্ণিমা রাতে কাউকে না কাউকে এই আশ্চর্য খেলা দেখিয়ে গেছি আমি তবে এবার আবার ছুটি এখন থেকে খেলা দেখাবে তুমি তুমি তুমি তোমার নামটা যেন কি রবির তাইনা আজ থেকে তোমার আমি নতুন নামকরণ করছি রবির মেডিসিন দাস বাক্সটিকে খুব সাবধানে শয্যাতনে রেখো বাবা এর ওই আশ্চর্য ক্ষমতা দেখে আমি ও লোভে পড়ে ১ লোকের থেকে এটাকে চুরি করি যেমন আজ তুমি করলে পরে বুঝতে পারি যে কে এই সাক্ষাতে ভুল করে ফেলেছি তারপর থেকে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বহু মানুষকে বহুবারের আশ্চর্য ক্ষমতার প্রদর্শন করিয়েছেন আর ও কেউ
বায়না তাদের উপকার করেছে যেমনটা তোমাকে আজ করলাম যাতে কেউ একজন স্বেচ্ছায় এটা গ্রহণ করে এক্ষেত্রে চুরি করে কিন্তু না কেউ করেনি বহুবার এটাকে আমি খাদে ছুড়ে ফেলেছি মাটিতে পুঁতে দিয়েছি আগুনে গুঁড়িয়ে দিয়েছি কিন্তু কিছুতেই কোনো কাজ হয়নি নিজের হাতে অন্য লোককে দান করেও কোনো কাজ হয়নি ৫ বছর পর শেষমেশ ভুবনভোরা খুঁজে পেল আরেক ভুবন ভরাকে ওহ এবার আমার মুক্তি মুক্তি কেমন মুক্তি এই জিনিসটা আসলে কি এবার তোমাহে রুহিসাপে কথাটা বলি শোনো তোমার এখন যে মানসিক অবস্থা তাতে কিছু মনে থাকবে বলে তো মনে হয়না চিন্তা ক
রো না ডায়েরি তে সব লেখা আছে আমার জানা সমস্ত ভাষাতেই লেখা আছে মামলায় অনুবাদ করতে গিয়েই তো কাল বিকেলে বাস স্ট্যান্ডে আসতে দেরি হলো আবার আসল পূতিটা প্রাচীন বৌদ্ধ ভাষায় লেখা ছিল মৌসুমীরা আগে ১ বুদ্ধতান্ত্রিক ১ চাঁদের পরিধি ওই বাক্সটার মধ্যে বন্দি করেছিল কিভাবে করেছিল তা অতীতে লেখা ছিল না এই চাঁদের পরিরাক অদ্ভুত ক্ষমতা হলো প্রতি পূর্ণিমার রাতে এই পরীর জীবন তো কোন মানুষের আত্মা থেকে তার প্রাণশক্তি শুষে নিয়ে তার কিছু অংশ অন্য কাউকে দান করতে পারে তোমার ক্ষেত্রে মদনের জীবন শক্তি দান করেছে তোমার ভাইক
ে শেষের চিবড়ে হয়ে যাওয়া শরীরটাকে ভরে নিজে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে সেই তান্ত্রিক অড়িকে বন্দি করেছিলো অঙ্গ রক্তের লোভে এবং সে পায়ও সে নাকি উপায়ে প্রায় তিনশো বছরেরও বেশি বেজেছিলো মোটমাট পরীর একটাই চাহিদা প্রতিবন্ধী মায়ের একটি করে প্রান্ত মানুষ তার বদলে সে তোমায় দেবে জীবনী শক্তি হাহাহাহা এটা কে তুমি এবার কিভাবে কাজে লাগাবে সেটা সম্পূর্ণ তোমার ব্যাপার আর যদি কোনো কারণে ঘড়ির মালিক আর এই প্রয়োজন পূরণ করতে না পারে তবে ঘড়ির মালিক কেই নিজের খাদ্যে পরিণত করে আর সেই মালিকের আত্মা চিরকাল বন্দি থেক
ে যায় বরির কাছে মৃত্যুর পরেও মুক্তি দেয় তুমি আমার কাছ থেকে এইচডি চুড়ি চুড়ি স্বীচ্ছায় গ্রহণ করেছো তাই এখন থেকে তুমিই এর মালিক হোলে একবার কি হয় এই তান্ত্রিক কোন কারনে ভরির প্রয়োজন মেটাতে পারেনি না হয় ২ বাজারে কোন ভুল করেছিল তাই বৃহস্পতিবার এ প্রান্তিক মারা গেলেও পরিবন্দি থেকে যায় বাক্স টা তে এটা হাত মন্ডল হতে হতে আমার হাতে আসে আর এখন সেটা তোমার কাছে হাফিয়ে উঠেছিলাম যেন এই ৫ বছর প্রদীপ পূর্ণিমা রাতে জেন্ত মানুষ জোগাড় করতে করতে এখন হাতে সময় পেয়েছি এবার গুনবো এই কতগুলো মানুষের রক্ত আমার
হাতে লেগে আছে বেশ কয়েকবার পাইনি তখন একবার আমার ছেলে কে তারপর আমার স্ত্রীকে আর আমার বাবাকে বাইক কে যাচ্ছ সব কথা আরেকটা ব্যাপার মাথায় ঘেঁটে নাও ভুল করে আবার বলছি ভুল করেও মাকসগীকে আত্মা বন্ধন চাপড়ের বাইরে খুলে ফেলো না কেন কবি একবার বললে বাইরে বেরিয়ে পড়লে সব বিপদ কি হবে তা আমিও জানিনা তার থেকে মুঠির শেষে পাতাগুলোকে ছিল না বোকার মতো পরীক্ষা করতে যেও না যেন আর আর আমাকে খোঁজার চেষ্টা করো না কোন লাভ হবে না নামের নাম ভ্রমণ পোড়া আর নাই আসামের মলম বলে কোন গ্রাম আছে মমতাজ মোটেই আশীর্বাদ ৯ বাবা ভয়ংকর
একটা অভিশাপ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ভালো থেকো সাবধানে থেকো আর সাবধানে থেকো কলটা কেটে গেল সঙ্গে সঙ্গে রবির এর হাত থেকে ফোনটা ছাড়া হয়ে পায়ের কাছে পড়ে বাসটা তখনো তীর ব্যাগে পাহাড়ি রাস্তায় নিচের দিকে নামছে একটা বাঘের কাছে হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে অন্য একটা গাড়ি চলে আসা ড্রাইভারকে আচমকা ব্রেক করতে হলো এর ফলে কবিরের ভাঙ্গা হাত দিয়ে কোলের উপর চেপে রাখা বাক্সটা ছিটকে গিয়ে পড়লো বাসের মেয়ে যেতে আর সঙ্গে সঙ্গে বাক্সের ডালাটা খুলে গেল প্রবীর দেখলো বাক্সের ভেতর থেকে একটা ছোট্ট আলোকবিন্দু বেরিয়ে
আসছে রাত্রির মত আলোটা রুপোডি নব এখন আলোটা লাল রঙের ধীরে ধীরে আলোর বিন্দুটা একটা পতঙ্গের রূপ নিচ্ছে রবি কে নিয়ে বাসে মোট জোনাফাজিত জানেনা সবাই এই আশ্চর্য জিনিসটার দিকে সমহিদের মতো চেয়ে আছে রবির জানু এই পতঙ্গ কিছু সময় পর একটা নারীর অবয়ব নেবে অজানা আতঙ্কে চোখ দুটো ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিল প্রবীর মাঝে মাঝে মনে হয় এও প্রকৃতির ১ কৌতুক সে আমাদের ডুবতে থাকা মানবতার সামনে ১

Comments